আসুন বাংলাদেশি হয়ে বাঁচি -----
- ফেরদৌসী পারভিন | Ferdawsi Pervin
- Nov 29, 2024
- 3 min read
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবে কিন্তু মুসলিম প্রধান দেশের আদালত প্রাঙ্গণে মুসলিমকে জবাই করে। তারা জাতীয় পতাকার ওপরে ইসকনের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশকে অস্বীকার করে ,তাকে গ্রেফতার করায় সবাই হিংস্র হয়ে ওঠে কেন? এদেশ নিজেদের ভাবলে এসব করতে পারেনা। ভারতের মিথ্যা কথাই লাফালাফি বন্ধ করেন। ভারত চাইছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে। এদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এটা বুঝতে হবে। পতিত সরকারের জন্য ভারতের এতো মাথা ব্যাথা কেন? ভারত হিন্দুদের নিয়ে এদেশে রাজনীতি করছে। এবং অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুটতে চাইছে। ভারত অন্য দেশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে সেটাও আবার মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে। হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদ এক নয় এটা হিন্দুদের বুঝতে হবে। ইসকনের ব্যানারে এইদেশকে শেষ করে দিতে চাইছে।
একজন ধর্মগুরু অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা এটা কে বলেছে? ভারতের উচিত ছিল এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো। এবং প্রতিবেশী সুলভ কথা বলা। তারা একটি দলের জন্য কেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা কেন বলছেন না সন্ত্রাসী হিন্দুদের সাথে সাধারণ হিন্দুরা নাই। বরং তাদের ন্যারেটিভ শান্তি প্রিয় হিন্দুদের বিপদে ফেলে দেবে একথাও তারা ভাবছেন না। তাহলে বলাই যায় ভারত হিন্দুদের পৃষ্ঠোপোষক নয় বরং হিন্দুত্ববাদ শক্ত করা যা ভারতেও প্রশ্নের সম্মুখীন।
বাংলাদেশে বহু মুসলিম ধর্মীয় ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয় হচ্ছে।
মুসলিম প্রধান দেশে দুদিন আগের ঘটনা অত্যন্ত দু:সাহসের পরিচায়ক। তারপরও সকলে ধৈর্য ধরেছে এবং ধরতে হবে। হিন্দুদের এটা বুঝতে হবে। ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের নতুন রুপ মেনে নিতে পারেনি। ভারতীয়রা দীর্ঘদিন এদেশে রাজত্ব করেছে। হঠাৎ এই পরিবর্তন ভারত মেনে নিতে পারছে না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কেন বোঝেন না?
আবরার হত্যা প্রধান আসামি ইসকনের সদস্য। এবং তাকে যাতে গ্রেফতার নাহয় তখন ভীষণভাবে চেষ্টা করেছে তা তখন পত্রিকায় এসেছে।
আরো একটি বিষয় অবাক করার মতো এতো বড় একটা হত্যাকাণ্ডের পর কোন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের দু:খ প্রকাশ করতে দেখিনি। কিন্তু সবসময় অন্য ধর্মের কোন বিপদ হলে মুসলিমরা দু:খ প্রকাশ করে। এটাও আমাকে নতুন করে ভাবিত করেছে। কারন আমার মতো বেশিরভাগ মানুষ অন্যধর্মের মানুষকে ,,মানুষ
হিসেবেই দেখি। এটা সব ধর্মের মানুষকে মনে রাখতে হবে। এদেশে বসবাস করে দেশকে যদি নিজের দেশ না ভাবি কথায় কথায় বলি এদেশ থেকে যাবো না। এদেশ থেকে যাবার প্রশ্ন আসছে কেন? তাহলে কি এটা ভাবতে হবে যে ,যাবার জন্য প্রস্তুত হয়েই আছেন শুধু ছুতো খুঁজছেন। কিন্তু সবাই কি ভারতে যাবেন বা যেতে চান।
আমার তো মনে হয়না তা। তাই সাধারণ মানুষকে ফাঁদে পা দেবার ব্যবস্থা করবেন না পরিস্থিতি তৈরি করে।
একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বিদেশীদের কাছে লিখেছেন এমন কিছু নেতিবাচক কথা যাতে তারা পন্য না নেয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ী কি বাংলাদেশের ভালো চায়? ভারতের ন্যারেটিভ হচ্ছে বাংলাদেশ চালাচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠী যা আগেও বলা হয়েছে ,এটা অন্য দেশকে বাংলাদেশের প্রতি বিরুপ করার জন্য।
প্রতিবেশীর সাথে ভালো সর্ম্পক মানে দাসখত লিখে দেয়া নয়।
শুভেন্দু বাবু যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ সিকিম কিংবা মুনিপুর। তারা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। এতো বছর নিজেদের ভোগদখলের ভূমি বানিয়ে রাখা বাংলাদেশ মুঠি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এটা ভারত মেনে নিতে পারছে না। আর তাই বিভিন্ন রুপ নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। আমাদের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই বিষয়টি বুঝতে হবে। যদি বুঝতে না পারি তাহলে এতো শহীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
আরেকটি বিষয় না বল্লেই নয়। মিডিয়ার আচরণ পরিবর্তন হয়নি। শুধু একটুখানি ভোল পালটেছে। তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছে সরকারের ব্যর্থতা সবটুকু। বিশেষ করে টকশো গুলোতে যারা হোষ্ট করছে। তারা কিন্তু আগের সময়ে সামান্যতম বলার চেষ্টা করেনি। কেন? বরং অংশগ্রহণকারীরা কিছু বলতে চাইলে সেই সুযোগ দেয়নি। মিডিয়া আগের মতই আছে। শুধু মেকওভার পরিবর্তন করেছে। সরকারে বোঝার ঘাটতি আছে কিন্তু তারা দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা কি আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি না করছি?
একের পর এক ভারতের ইন্ধনে পতিত সরকারের লোকজন একের পর এক সমস্যা তৈরি করেই যাচ্ছে।
দেশ আমাদের । এই দেশেই আমাদের থাকতে হবে। যেহেতু আমাদের ভালো আমদেরই বুঝতে হবে সম্মিলিত ভাবে। সকল ধর্মের মানুষ বাংলাদেশি ভাবুন নিজেদেরকে। সুস্থভাবে বাঁচতে সাহায্য করি অন্যকে এবং নিজেও বাঁচি।
Comments