top of page

পাহাড়ের কাব্যকথা ২০২৪

আরেকটু এগিয়ে যাওয়া

গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের বিজয় দিবস। ঢাকা শহর রঙিন আলোতে সেজেছে। ৫ই আগষ্টের পর প্রথম বিজয় দিবস। অন্যরকম আনন্দ সবখানে। যে যার মতো দিবসটি পালন করছেন। যথেষ্ট শীত পড়েছে। প্রায় মধ্যরাতে আমি চলেছি আরামবাগ বাস কাউন্টারে। গন্তব্য খাগড়াছড়ি। একবছর পরে যাচ্ছি পাহাড়ে। পাহাড় বরাবরই আমার ভালবাসার জায়গা। দেশে বিদেশে সবখানেই পাহাড় আমার প্রথম পছন্দ।


বাস ছাড়তে ছাড়তে রাত একটা। শাল জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। যদিও জার্নিতে ঘুমোতে পারিনি। গভীর শীতের রাত সমস্ত বাস জুড়ে ঘুমের আবহ। ছোট্ট দুটি বাচ্চা কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকলো। একটা সময় তারাও ঘুমিয়ে পড়লো। শুধু কথা বলে যাচ্ছে সুপারভাইজার ,ড্রাইভারের সাথে। আমার মনে হলো ড্রাইভারকে জাগিয়ে রাখার জন্য কথা বলছে সুপারভাইজার।


রাত তিনটায় কুমিল্লার নূরজাহান হোটেলে ব্রেক দিয়ে খাগড়াছড়িতে পৌছুলাম সকাল সাড়ে সাতটায়। কুয়াশা ভেদ করে সূর্য মুখ দেখাচ্ছে। গাইরিং হোটেলে যেয়ে গরম পানিতে শাওয়ার নিয়ে রাতের ক্লান্তি ধুয়ে নিলাম। হোটেল আমি মোটামুটি পরিচিত। যার সাথে দেখা হচ্ছে সে-ই জানতে চাইছে কেমন আছি? ভালো লাগলো ওদের আন্তরিকতায়। নাশতা সেরে বাইরে বের হলাম বীণা ত্রিপুরার সাথে। সারাদিন অনেক কাজ। আজ ১৭ তারিখ। আগামীকাল সহায়তা দেব ২০০ মানুষের মধ্যে।

সারাদিন ঘুরে ঘুরে সমস্ত কাজ গুছিয়ে আনা হলো। বীণা ও দ্বীপায়ন আগেই কিছু কাজ গুছিয়ে রেখেছিল।


এবার মাত্রার লোগো দিয়ে ব্যাগ বানিয়েছি। আমি সঙ্গে করে ব্যাগ নিয়ে এসেছি।

পরদিন পুলিশ লাইন স্কুলে সহায়তা প্রদান করা হলো। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব শহীদুজ্জামান ,,পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল ,পুলিশ সুপার মাহামুদা বেগম , পুলিশ লাইন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।


আরো উপস্থিত ছিলেন নারীদের নিয়ে কাজ করেন এমন একজন নারী উদ্যোক্তা শাপলা ত্রিপুরা। মজার ব্যাপার হলো বেশ কিছু মানুষ এসেছেন শুধু আমার সাথে পরিচিত হতে। সবকিছু মিলিয়ে ভালো লাগলো সমস্ত কাজ শেষ হলে।


এবার ১২ টি সেলাই মেশিন ১০০ বৃদ্ধ নারীকে কম্বল ও ৯০ জন ছাত্র ছাত্রী কে স্কুল ড্রেস এবং শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কিছু আর্থিক সাহায্য দিলাম। আমার সামর্থ্য কম। আমার সাথে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুহৃদ ,স্বজন। জানিনা সামনে আরো কিছু নতুন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো কিনা। " মাত্রা " সামনে কতদিন কাজ করতে পারবে সেটাও জানিনা। ভালো থাকুক মানুষ ।


প্রফেসর ফেরদৌসী পারভিন

১ , ২ , ২০২৫

উত্তরা

©2024-25 | MKD

bottom of page