
পর্ব ৩
পর্ব -- ৩
২০২২ সালে জুন মাসে আবার ৮ টি মেশিন দিলাম এবং ৩০ জনকে সুতো দিলাম ভিডিও কলের মাধ্যমে । যাওয়া সম্ভব হয়নি । দূরত্ব এবং আমার বয়স হয়েছে । সেখানে সবুজ ও বীনা ত্রিপুরা দিদির তত্ত্বাবধানে কাজটি করা হলো । উপস্থিত ছিলেন অনেকে । এর পরেই আমি অস্ট্রেলিয়া চলে যাই বেড়াতে । দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও সবুজের মাধ্যমে খবর নেবার চেষ্টা করেছি । অক্টোবরের শেষে ফিরেই অসুস্থ হয়ে গেলাম। সবুজকে বলে রেখেছিলাম ওদের খবর জানাতে। এমাসের প্রথমদিকে সবুজ ভিডিও কল দিল । দেখি তারা পাড়ায় গেছে কাজ দেখতে । পরিচয় হলো সাংবাদিক জনাব রহমান মুজিব সাহেবের সাথে । মেয়েদের সাথে কথা বললাম । তাদের চোখে মুখে উপচে পড়া আনন্দ । আমার মন ভরে গেল তাদের আনন্দ দেখে । বীনাদি তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। এরপরেই সবুজ ঢাকা পোস্টে এবং মুজিব সাহেব কালবেলা ও জাগো নিউজে , নিউজ করে এই নারীদের সাফল্য সকলের সামনে নিয়ে আসে । সকলের নজরে আসে এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা । আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ । আরো বেশকটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে যেমন আমার সংবাদ এবং অধিকার । সামনেই আবার যাব । সবুজকে বলেছি যাদের সুতো দেব তাদের বাছাই করতে । অনেকের মনে প্রশ্ন আছে সমতল ছেড়ে পাহাড় কেন? উওর হচ্ছে সমতলে অনেক চেষ্টা করেছি এবং করে যাচ্ছি । বেশকিছু ছাত্র সমতলে আছে যাদের পাশে আছি । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে শিক্ষা উপকরণ দিই । পাহাড়ের নারীরা খুব পরিশ্রমী এবং অভাবের সাথে বসবাস । আরেকটা কথা না বললেই নয় আমার এই কাজে কাছের মানুষরা আমার দিকে হাত বাড়িয়েছেন । ধন্যবাদ তাঁদের । যারা লিখতে বলেছিলেন আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আরো কিছু নারীকে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং সুস্থ থাকি । খাগড়াছড়ির যারা আমার কাজে সাহায্য করেছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । তবে যাকিছুই করছি নিজেদের আর্থিক উদ্দোগে । আমি কোন এনজিও করিনি বা যুক্তও নই। সবাই ভালো থাকবেন ।
প্রফেসর ফেরদৌসী পারভিন উত্তরা ,ঢাকা ১৭ ,১১,২০২২






