
নারীদের নিয়ে কাজ শুরু
পর্ব -- ২
এরপর আমার সাথে পরিচয় হয় সবুজ এবং তার স্ত্রী সুমীর সাথে । ২০২০ সালে আমি ঠিক করি পাহাড়ের নারীদের নিয়ে কাজ করবো । সমির মল্লিককে সে কথা বলি আমাকে এ কাজে সাহায্য করার জন্য । কিন্তু সে রাজি হলো না সাহায্য করতে । জানিনা কেন? লোকাল কাউকে না পেলে কাজ করা সম্ভব নয় । পরবর্তীতে সবুজকে বলি সে সানন্দে রাজি হয় । পরিচয় হয় খাগড়াছড়ির জয়ীতা , বীণা রানী ত্রিপুরার সাথে। তারাই আমাকে পাহাড়ের মানুষের কাছে নিয়ে যায়। । ২০২০ সালে সেলাই মেশিন ,শীতের চাদর দিই সময় নভেম্বর মাস । মাছরাঙা টেলিভিশনের জনাব কানন আচার্য এক মারমা নারীর সাহায্যের জন্য বলেন । তাকে একটি চা ,জলখাবারের দোকান করে দিই । এবং সে এখন সাবলম্বী। মারমা নারীর স্বামী নেই ,তিনটি বাচ্চা । ভালোই চলে যাচ্ছে তাদের । গাইরিং হোটেলের মালিক , অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা দাদা এবং অন্যান্য স্টাফরা আমি গেলে খুব যত্ন করেন । তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই এই লেখায় । উল্লেখ্য আমার লেখা একটি ভ্রমণ গদ্য আছে নাম , "গাইরিং থেকে মেঘবাড়ি " যা এই হোটেলের নাম থেকে তার অর্থ জেনে দিয়েছিলাম। ২০২১ সালে আমি অবসরে যাই । মার্চ মাসে সেখানে প্রথম ৪০ নারীকে পুঁজি তৈরির উদ্দেশ্যে সুতো কিনে দিই । তারা কোমর তাঁতে কাপড় বোনে । কিন্তু দাদন নিয়ে কাজ করায় তাদের লাভ কিছুই থাকতো না । সুতো দেয়ার ফলে দেখলাম তাদের ভালো আয় হচ্ছে । কারন যে টাকায় বিক্রি করছে তা সবটাই তার । ২৫ , ৩০ , এবং ৫০ হাজার টাকায় তৈরি পোশাক বিক্রি করছে । আমার খুব ভালো লাগলো তাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে । সবার চোখেমুখে খুশীর আলো দেখেছি ।



