top of page

ছয় কন্যার শেষ কন্যা

তপোলিকার গল্প

আজ সেই ছয় কন্যার শেষ কন্যা তপোলিকার গল্প বলবো।


তপোলিকার স্বামী বর্গাচাষি । তপোলিকার বড় সংসার । ভাইবোন ছরার গাছবান ইউনিয়নে বসবাস তার । এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়েই শুধু তার সংসার নয় । সংসারে তার বৃদ্ধ শশুর শাশুড়ী আর দেবর ননদ আছে। সে পরিবারের বড় বৌ হওয়াতে তাকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয় । সারাদিন ব্যস্ততায় কেটে যায় সংসারে। হাঁস মুরগী পালন করে পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য । বর্গাচাষী স্বামীর একার আয়ে সংসার চাকা ঠিকমতো ঘুরছিলনা । কোনরকম দিন পার করছিল তপোলিকা ।

তপোলিকা বিয়ের আগে তার বড় ভাবির কাছে সেলাই শিখেছিল । সেলাই পারলেও মেশিন না থাকার কারনে সেলাইয়ের কাজ করতে পারতোনা । একটি সেলাই মেশিন পেলে সে সেলাইয়ের কাজ করে উপার্জন করতে পারতো। তাহলে সংসারের প্রয়োজন কিছুটা হলেও মেটে । বীণা ত্রিপুরা একথা আমাকে জানায় । আমরা তাকে একটি সেলাই মেশিন দিই ১২ ,১২,২০২৩ তারিখ । এখন মেশিন পাওয়ার পর সে এলাকায় সে সেলায়ের কাজ করছে । তার সেলাই করা জামাকাপড় প্রসংশিত হচ্ছে তার দক্ষতার কারণে । তার হাতের কাজ ভালো বলে সুনাম কুড়িয়েছে । ফলে সে স্বপ্ন দেখছে আরো বেশি কিছু করার । তার স্বপ্ন ভবিষ্যৎএ সেলাইয়ের দোকান দেবে এলাকায় । তার দোকানে কাপড় থাকবে যা কিনে মানুষ অর্ডার দেবে । তৈরি পোশাক থাকবে ।

আরো অনেক কিছু থাকবে । স্বপ্নের তো শেষ নাই । তপোলিকাদের স্বপ্ন পুরণ হোক । তপোলিকারা এগিয়ে যাক আরো সামনের দিকে ।

৮.৯.২০২৪

প্রফেসর ফেরদৌসী পারভিন

কবি ,,সাহিত্যিক ,,সমাজকর্মী

©2024-25 | MKD

bottom of page